হিন্দু ধর্মের ইতিবৃত্ত, পর্ব ১

8 মতামত পাওয়া গেছে

অনেকদিন পরে আপনার উপস্থিতিতে ব্লগ যেন প্রাণ ফিরে পেলো। ধন্যবাদ আকাশ মালিক।

প্রতিটা পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকবো। আশা করি পাঠকরাও নিরাশ হবেন না।

আমি পূর্বে মনে করছিলাম ইসলাম ধর্মের চেয়ে হিন্দু ধর্ম অনেকটা শান্তি প্রিয় কিন্তু এখন দেখছি হিন্দু ধর্ম ও নিষ্ঠূর ও অমানবিক ! 

ধন্যবাদ আকাশ মালিক ভাইকে ।

    আস্তিকেরা সকলেই ঐরকম একটা ধর্মকে বাকিগুলোর চেয়ে ভাল মনে করেই জীবন কাটিয়ে দেয়। তুলনামূলক ভালমন্দ আছে এটা মানতেই হবে, তবে মানসিক স্বাধীনতার জন্য সবগুলোই হুমকি।

ধর্ম মানেই পৃথিবীকে নরক বানিয়ে নিজে স্বর্গে যাবার ম্যানুয়াল। যখন যে ধর্ম ক্ষমতায় থেকেছে তখন সেইই যা ইচ্ছে তাই করেছে। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আবার করবে।  কেউ কারও চেয়ে কম যায়না।

বলতে বাধ্য হলাম যে মালিক সাহেব ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের মতের স্বপক্ষের কথাগুলি প্রকাশ করেছেন এবং যেগুলি বিপক্ষে যায় সেগুলি গোপন করে গেছেন। বেদে যে সতীদাহ প্রথাকে বাধ্যতামূলক করা হয়নি,  বিধবাদের বেঁচে থাকার কাহিনীও আছে সেটা অন্তত রামমোহন রায়ের নাম যারা জানেন তাদের সবারই জানার কথা। বেদে যে বিধবা বিবাহের কাহিনীও আছে সেকথা বিদ্যাসাগরের নামের সঙ্গে পরিচিত সকলেই জানে। মালিক সাহেব যদি অন্যের লেখা কপি পেস্ট না করে থাকেন তাহলে আশাকরি উত্তর দিয়ে যাবেন।

মালিক সাহেব হয়তো সবটা বলেননি। বেদের পিঠ বাঁচাতে লাফানোর জন্য আপনি তো আছেনই। সবাই মিলে কাজ করলেই তো হয়। লেখক একাই সব করবেন কেন? আপনিও কিছু অবদান রাখুন। দেখুন যদি বেদের সম্মান বাঁচাতে পারেন।

বেদের সম্মান রাখার দায়িত্ব আমার নয়। কয়েক হাজার বছর ধরে বহু বড় বড় মক্কেল এসে বেদের বিরুদ্ধে বড় বড় লেকচার দিয়েছে, তাদের তুলনায় আপনারা তুচ্ছ মানুষ। সম্ভবত বেদ আপনারা পড়েও দেখেছেন বলে মনে হয়না। তবে রামমোহন রায় যখন সতীদাহ প্রথা বন্ধ করিয়েছিলেন সেজন্য বাইবেল বা কোরানের দরকার হয়নি। জাতিসঙ্ঘের আইন তখন ছিলনা। তিনি বেদের এবং অন্যান্য হিন্দুশাস্ত্রের নজির দেখিয়েই সতীদাহ বন্ধ করিয়েছিলেন। বিদ্যাসাগর যখন বিধবা বিবাহ চালু করেন তিনিও শাস্ত্রের নজির দেখিয়েই কাজটি করেছিলেন। লেখক যেমনটা দাবী করছেন সেটা যদি সত্যি হত তাহলে এমনটা ঘটনা সম্ভব ছিলনা।

বস্তুত লেখক আদৌ বেদের যথাযথ আলোচনার জন্য এই লেখাটি শুরু করেননি। শুরুতেই তিনি বলে দিয়েছেন এতদিন কোরান হাদিসের সমালোচনা করার পর ব্যালান্স করার জন্য হিন্দুধর্মকে ধরেছেন। আপনারা হয়ত এই লেখককে রামমোহন বা বিদ্যাসাগরের চেয়েও বড় পন্ডিত ভেবে হাততালি দেবেন। সে আপনাদের ইচ্ছা।


মতামত দিন বাতিল করুন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।