মঈনুদ্দিন চিস্তি ও আজমীর শরীফ নিয়ে কিছু ভাবনা

16 মতামত পাওয়া গেছে

সরাসরি ওয়ার্ড থেকে কপি  পেস্ট করতে হলে নিচের লেখার ফরম্যাট এ ক্লিক করে Plain Text Editor সিলেক্ট করে নেন, তারপর আবার Full HTML করে সুবিধামতো সাজিয়ে নিন। ফন্ট মিসম্যাচের জন্য সরাসরি ওয়ার্ড থেকে পেস্ট না করতে উৎসাহিত করা হলো।

রাজেশ দা আমার একজন প্রিয় লেখক। উনার লেখা বরাবর গবেষণাধর্মী, শিক্ষামূলক ও চিন্তার উদ্রেককারী। এ লেখাটাও।

কপি-পেস্ট-এর ব্যাপারে লেখকগণ ওয়ার্ড থেকে কপি করার আগে ফরম্যাটিং ক্লিয়ার (Clear Formatting) করে নিতে পারেন। কিভাবে করতে হবে সংযুক্ত ছবিতে দেখুন।

 

ইতিহাস আমার এক প্রিয় বিষয়। কারণ হয়তো অতীতকে জানার এক প্রবল তাড়না অনূভব করি। তাই যেখানেই যাই সেখানকার ঐতিহাসিক জায়গাগুলো মোটামুটি দেখি। তা বগুড়ার ‘মহাস্থান গড়” হোক। আর বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘর” বা কুমিল্লার “ ময়নামতি”  হোক।

টেকনাফ  গিয়ে  ধীরাজ ভট্টাচার্যের “মাথিনের কূপ” ও দর্শন করে এসেছি। তালিকা আরো দীর্ঘ হয়ে যাবে।

আমি  আজমীর গিয়েছিলাম। সময়টা ২০০৩ দিকে হবে।  তার আগে দিল্লি দিয়ে যেতে হয় বিধায়  দিল্লিতেও ওখানকার অনেক ঐতিহাসিক জায়গাও দর্শন করার সৌভাগ্য হয়।

আজমীর গিয়ে একটা বিষয় আমি ভালো করে  লক্ষ্য করলাম ওখানে যতোটা মুসলিমরা আসে তার চাইতেও হিন্দু ধর্মালম্বীরা ও কম আসেনা। জিজ্ঞাসা  করায় জানা গেল- “ খাজা বাবার দরবারে সবাই আসতে পারে। সবার জন্য দরজা উন্মুক্ত।“

আমি লক্ষ্য করলাম ওখানকার শৈল্পিক বাড়ি ঘর।  সেখানে এক খাদেমের বাড়ি দাওয়াত খেতে গিয়ে দেখি এলাহী কান্ড! কতো রকমের খাদ্য যে পরিবেশন করা হল তা বলে শেষ করা যায় না।

শিড়িগুলো  অত্যান্ত  সরু আকারের। কিন্তু ঘর বাড়ি আমাকে মুগ্ধ করল। মনে পড়ছিল- এ কোন কারিগরের সৃষ্টি!

এতো সুন্দর বাড়ি ঘর দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।  খাদেম বার এবং তার পরিবার -বার অনুযোগ করছিলেন কেনো আমরা হোটেলে উঠলাম। কেনো মেহমানখানায়  সরাসরি উঠলাম না।  কেনো আজমীর গিয়েছিলাম সে প্রসঙ্গে গেলাম না।

তবে রাজেশের এই লেখা আমাকে ইতিহাস মনে করিয়ে দিল।

রাজেশের সব লেখা আমি অত্যন্ত খুঁটিয়ে পড়ি। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ লেখা। বাকি মতামত অন্যরা দেবেন। আমি কেবল ইতিহাস ঘেঁটেই আনন্দ পেলাম।

রাজেশ’ কে অভিনন্দন, নবযুগে পেয়ে। আশা করি নিয়মিত লেখা পড়তে পারবো এইবার রাজেশের।

    কোন কোন সময় মনে হয় ইতিহাসের কোন মা বাপ নাই। বিজিত আর পরাজিতদের ইতিহাসে থাকে বিস্তর ফারাক। তারপরেও যেটুকু ইতিহাস আমরা হাতে পাই তাও জানতে চেষ্টা করি না শোনা কথাই শুধু লাফা লাফি করে তৃপ্তি পেতে চেষ্টা করি।

    উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।

@ গোলাপ আপনাকে প্রাণঢালা  স্বাগতম। খুব শিঘ্র আপনার লেখা পড়ার আশায় –

সবিনয় নিবেদন,

স্মাইলী’তে   এমন কিছু দিলে ভালো হয় যেমন গোলাপ (:  এককাপ চা  ইত্যাদি- এইটা একান্ত আমার অণূভব তাই জানালাম। বা অনুরোধ করলাম।

্রাজেশের লেখা আমি সর্বদা মনোযোগ দিয়ে পড়ি। এটাও ব্যতিক্রম হ’ল না। রাজেশের আর একটি খুব সুন্দর লেখা ছিল চট্টগ্রামের সুবিখ্যাত নিজামুদ্দিন আওলিয়ার মাজারের উপর।

সুফীদের সম্পর্কে অনেক মিথ্যা প্রচারণা আছে। অনেকেই মনে করেন সূফীরা খুব শান্তিপ্রিয়, নিরীহ ইদলাম ধর্ম প্রচারী। কিন্তু আমি যতই সুফীদের লেখা পড়ছি ততই বিস্মিত হচ্ছি তা’দের রক্তমাখা হাত দেখে। সব সুফীদের গুরু হচ্ছেন ইমাম গাযালি। তাঁর দুটি বই–ইহইয়া উলুম আল দিন এবং ‘কিমিয়ায়ে সা’দত’ পড়ে তাজ্জব হতে হয়। এই বইদূটি যদিও সুফীদের করনীয় সম্পর্কে তবুও ইমাম গাযালী পরিষ্কার লিখেছেন–বিধর্মী অর্থাৎ যারা ইসলাম গ্রহণ করবে না তাদেরকে হত্যা করতে হ’বে। এছাড়াও সংস্কৃতি হত্যার কথাও লেখা আছে। অর্থাৎ আরবি সংস্কৃতি ছাড়া অন্য সংস্কতিকে গলা টিপে হত্যা করতে হ’বে। অবিশাষ্য হলেও সত্যি যে ইমামা গাযালি ছিলেন একজন পারসিয়ান।

এই ব্যাপারে এম এ খানের বই খুবই দরকারী।

পুরাতন সব ধর্ম বিশ্বাস পাল্টিয়ে উপহার দেন ইসলাম। এর জন্য অবশ্য খরচ হয়েছে প্রচুর রক্ত।

ইসলাম দ্বারা পারস্য সংস্কৃতি হত্যার মত নৃশংস কর্ম মনে হয় বিশ্বের অন্য কোথাও হয় নাই। ভারতবর্ষেও সংস্কৃতি হত্যা হয়েছে তবে ইরাণের মত নয়।

 

 

    আপনার মত খ্যাতিমান ব্লগার আমার মত ক্ষুদ্র ব্লগারের লেখায় চোখ রাখেন জেনে ভাল লাগল। আপনাদের উৎসাহে ভবিষ্যতে দেখি  আরো কিছু ছাইপাস লেখা যায় কিনা। ইমাম গাজ্জালিকে নিয়ে আমারো আগ্রহ আছে প্রচুর। লিখে ফেলুন গাজ্জালিকে নিয়ে।

আমরা ‘নবযুগে’ গোলাপ ফুল চাই–অর্থাৎ গোলাপের লেখা চাই।

*give_rose*

রাজেশ দা আমার প্রি্য লেখকদের একজন। উনার লিখা সর্বদায় গবেষনাধর্মী, তথ্যবহুল ও সুখপাঠ্য। তাঁর লিখায় পাঠকরা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারেন।
 
আজকেই নবযুগের সন্ধান জানলাম। আমার প্রিয় লেখকদের অনেকেই এ ব্লগটির সাথে জড়িত জেনে খুবই ভাল লাগছে। আশা করি অচিরেই এই ব্লগটি মুক্তমনের লেখক/লেখিকা, পাঠক/পাঠিকা ও মন্তব্যকারীর আগমনে সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। ‘নবযুগের’ নেপথ্যের সকল কলাকুশলীদের জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। প্রচ্ছদটি খুবই সুন্দর। সবাইকে শুভেচ্ছা।

 ‘নবযুগের’ নেপথ্যের সকল কলাকুশলীদের জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।

নবযুগের সদস্য হওয়ার জন্য আপনাকেও স্বাগতম। আপনার লেখা নবযুগে পড়ার প্রত্যাশা রইল।

গোলাপ যে সকলেরই প্রিয় ফুল।

মাত্র ১০ বছরের শাসনামলে ১২টি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল গণিমতের মাল সংগ্রহ, জিজিয়া কর আদায় সাথে ইসলাম বিস্তার। ইরান বাদ পড়েনি ওমরের আগ্রাসন থাকে। পুরানো বিশ্বাস গুড়িয়ে দিয়ে ওমর ইরানে প্রতিথ করেন নব্য ধর্ম ইসলাম বিশ্বাসের সংষ্কৃতি।

অন্য বিশ্বাসের লোকজন যখন এমনটি করে সেটি বন্ধ করার জন্য শোকের মাতম উঠে যায়, কিন্তু অত্যন্ত খারাপ লাগে ইসলামকে কখনও এইসবের জন্য অভিযুক্ত করা হয় না। যেকোন ধর্মীয় আগ্রাসনই নিন্দার, কিন্তু কেন জানি না নিরপেক্ষ পন্ডিটরা ইসলামকে সর্বদাই ছাড় দিয়ে দেন। ৮০০ জন ইউরোপীয় সেনা নিয়ে ক্লাইভের পলাশীর যুদ্ধে জয়কে বলা হয় ষড়যন্ত্রের জয়, কিন্তু ১৭ জন অশ্বারোহীর গৌড় বিজয়কে বলা হয়. ইসলামের জয়, বখতিয়ারের জয়। সেখঅনে ষড়যন্ত্র নৈব নৈব চঃ। *nea*

বাংলাদেশ তো এখন পীর আউলিয়ার মাতৃভুমি। বিমানবন্দর হলো শাহজালাল, শাহ পরাণ। আর অনেকে আবার সুফীবাদের মদ্যে আকন্ঠ নিমজ্জিত। যারা এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে কনভার্ট করার কাজ করেন তারা কিবাবে মহান হন ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে আসে না।

মোমিন উল-মুহাম্মদ

সুফিগণ বিশ্বব্যাপী শান্তির বাণী প্রচার করে বেড়িয়েছেন, তা একটা ঐতিহাসিক বাস্তবতা। আজও হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল ধর্মীয় গোষ্ঠির মাঝে সূফী ভক্তের ছড়াছড়ি সে সত্যতা জ্ঞাপন করছে।

অথচ সম্প্রতি কিছু লেখক সেসব শান্তিবাদী, মানবতাবাদী সুফিদেরকে সহিংসতা-অমানবতার ধারক হিসেবে প্রতীয়মান করা ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। ধ্বিক!!

সুফিগণ বিশ্বব্যাপী শান্তির বাণী প্রচার করে বেড়িয়েছেন, তা একটা ঐতিহাসিক বাস্তবতা। 

সুফীগন কি ইসলামের মৌলিক নিয়ম মেনে চলেছেন?? গান বাজনা ইসলামে কি সমর্থন আছে? আর সুফীরা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শ্রদ্ধা পেয়ে আসছেন, আপনার এ কথাটা সত্য। কিন্তু সেই শ্রদ্ধার অনেকটাই শুলত অলৌকিকের উপরে বিশ্বাস এবং সঠিক তত্য না জানায়। যদি এত শান্তিময়ই হত সুফীদের জীবন, তাহলে যুদ্ধ বিগ্রহের সাথে তাদের নাম জড়ালো কেন??


আপনার মতামত দিন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।