গুয়ের এপিঠ আর ওপিঠ!

9 মতামত পাওয়া গেছে

নিষ্পাপ মানুষের গায়ে কালিমা লেপন।

আর ধর্মান্তর হচ্ছে এক কালিমা মুছে দিয়ে আরেক কালিমা লাগানো।

একমাত্র মানুষ পারেই এমন সব কাজ করতে।

সে বৈচিত্র পছন্দ করে। রঙ মাঝে মাঝে বদলাতে দোষ কি। মজাতো বটেই।

বেশ ভাল সফলতাই পাচ্ছে পাশ্চাত্যে। পাশ্চাত্যীয় মানুষ মনে হচ্ছে আসমানী ধর্মের তুলনায় মানবীয়, পার্থিব সাংস্কৃতিক ধর্মের দিকে ঝুকতে শুরু করেছে।

Going back to Square one?

@ লেখক –

মানে বলতে চাইছিলাম, শোনা কথা-

 হিন্দু  ধর্মে নাকি রুপান্ত্রর হওয়া যায়না-

 জানতে পারি? কথাটা কতোদূর সত্য?

হিন্দু বলে তো কোনও ধর্ম সে ভাবে জানা নেই ,এট সম্ভবত বৈষ্ণব হওয়ার একটা অনুষ্ঠান।ইস্কন নামক সংস্থা আমেরিকায় বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের জন্যই এটা খুলেছে।মায়াপুরে এদের প্রধাণ কার্যালয়।অনেক বিদেশী আছে এখানে।শোনা যায় কুকীর্তি করে অনেকে পালিয়ে আসে ভারতে ধর্মের দোহাই দিয়ে,আর এই বৈষনব সেজে থাকে।অনেকদিন ধরেই এটা চলছে।

শ্রী শ্রী অনুকুল চন্দ্র কে বাদ দিলেন কেন? এটাও তো কম নয়, আবার অনুকুল ও লোকনাথের ভক্তদের মধ্যে দ্বন্দ্বও  আছে । 

    মনে পড়ল – আমার ঠাকুরদার আমলের এক লোকের নামে তীর্থস্থান হয়ে গেছে। লাখ খানেক লোকের সমাগম হয় প্রতি বছর কার্তিকের সঙ্ক্রান্তিতে।

    গতবার দেশে যেয়ে দেখি তার মূর্তি স্থাপন হয়ে গেছে অন্যান্য দেবতাদের কাতারে। বুঝুন ঠ্যালা।

উপরে জয়তীর মন্তব্য আমার ঠিক মনে হচ্ছে। লেখক এ বিষয়ে আলোকপাত করলে খুশী হতাম। আমার যতটুকু জানা তাতে হিন্দুধর্মে কনভার্ট হওয়ার কিছু নেই। হিন্দু ধর্ম লোকাচার আর আর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপরে ভর করে চলে। নাস্তিকতাও এর ভিতরে পড়ে। বৈষ্ণব হতে গেলে সব ধরনের হিন্দুকেই দীক্ষা নিতে হয় যতদুর জানি। এই দীক্ষাকেই কি কনভার্ট বলা হচ্ছে? তাহলে তো হিন্দুরাও বৈষ্ণবে কনভার্ট হচ্ছে!!  লেখক কি এ ব্যাপারে কিছু জানাবেন??

ধর্মান্তর বলে কোন ধারণা প্রাচীন সমাজে ছিল না। তখন মানুষ বাস করত নিজ নিজ জনগোষ্ঠির মাঝে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বিনা। এবং প্রত্যেক গোষ্ঠিই তাদের আচার-সংস্কার নিয়ে বিবর্তনশীল ধারাই নিজ নিজ ধর্ম গড়ে তোলে। কাজেই একটি অঞ্চলে বা জনগোষ্ঠিতে সবাই ছিল একই সাংস্কৃতিক ধর্মের মানুষ। সেখানে ধর্মান্ততের প্রশ্নই উঠেনা। কাকে করবে সে ধর্মান্তর?

ধর্মান্তরের সূচনা হয় যখন দুর-দূরান্তের মানুষে মানুষে সংযোগ সৃষ্টি হতে থাকে, অনেক সময় সাম্রাজ্য দখল ও শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। দেখা যায় ইহুদি ধর্মে কোন ধর্মান্তর ছিলতা। তা ছিল হিব্রু জনগোষ্ঠির জন্য ধর্ম; অ-হিব্রুদের অনুপ্রবেশ সে ধর্মীয় জনগোষ্ঠিতে স্বাগত ছিলনা। কিন্তু ব্যাবিলোনিয়া-পারস্য ফিলিস্তিন দখল করে সেখানে দীর্ঘস্থায়ী কলোনি স্থাপনের সুবাদে বহিরাগতদের সাথে তাদের যে অবধারিত দীর্ঘস্থায়ী সংযোগ প্রতিষ্ঠা পায়, তা ধর্মান্তরের সুযোগ সৃষ্টি করে। ইহুদি ধর্মের দ্বার খুলে দেওয়া হয় অ-হিব্রু জেন্টাইলদের জন্য।

এন সরকার বলেছেন- আমার মাথা নত করে দাও আরজ আলীর চরণ ধূলার তলে।

 

আর আমি বলি- আমার মাথা নত করে দা্ও এন সরকারের চরণ ধূলার তলে।


মতামত দিন বাতিল করুন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।