আমি কেন নাস্তিক

18 মতামত পাওয়া গেছে

অপূর্ব! অপূর্ব হয়েছে আপনার স্বীকারোক্তি।

 

এক নাগাড়ে পড়ে নিলাম।

 

ইসলাম ত্যাগের উপর আমার কাছে অনেক স্বীকারোক্তি আছে। কিন্ত আপনার মত এত গুছিয়া, সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা জবানবন্দী আমি খুব কমই পড়েছি। আপনার লেখা জমা করে রাখলাম।

 

*phil_31**phil_32*

লেখার প্রয়োজনীয় সংশোধন করার জন্য এডমিন কে ধন্যবাদ ।আমি মোবাইল ব্যাবহার করে লেখাটা লিখছি তাই অনেক কিছুই ঠিকভাবে খেয়াল করতে পারি নাই। আবারো ধন্যবাদ ব্লগ এডমিন

ধন্যবাদ কাশেম ভাই এই লেখার অনুপ্রেরনা আপনার লেখা থেকেই পেয়েছি

 

যতবারই আগ্রহ নিয়ে ওয়াজ শুনতে বসেছি প্রতিটি ওয়াজেই লক্ষ্য করেছি অন্যান্য ধর্মের লোকজন কে চরম গালাগাল, বিষেদাগার বা হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়া কোন বক্তার ওয়াজ আজ পর্যন্ত শোনার সৌভাগ্য আমার হয়নি।

 

যারা ওয়াজ করে তাদের দোষ দিবেন না। দোষ হচ্ছে কোরান, হাদিস এবং সুন্নাহ্‌র। কোরানের মর্মই তাই–অন্যান্য ধর্মকে গালি দেওয়া, অপমানজনিত ভাষা ব্যবহার, প্রয়োজন পড়লে অন্য ধর্মের অনুসারীদের কতল করা।

 

ইমাম গাযালির হাদিসে আছে—যে আল্লাহ্‌র ভালবাসার জন্য ইসলামে অবিশ্বাসীদের অপমান এবং লাঞ্ছিত করবে—ভাষা অথবা অস্ত্রের মাধ্যমে, তাদেরকেই আল্লাহ্‌ ভালবাসবেন–তাদের জন্যই নির্ধারিত রেখেছেন ইসলামি বেহেশ্‌ত।

 

এখন নিশ্চয় বুঝছেন কেন ওয়াজকারীরা বিধর্মীদের ধোলাই করে।

     আবু কাশেম ভাই, আপনার কথা একদম ঠিক । আমি সমগ্র কোরান পড়ে গালাগাল দেয়া অজস্র আয়াত দেখেছি – কিছু নমুনা –

    • আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা সত্যত্যগী , তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম  ৯৮:০৬
    • Those who reject (Truth), among the People of the Book and among the Polytheists,Will be in hell-fire,to dwell therein (for aye).They are the worst of creatures.-A,Yusuf ali
    • Lo! those who disbelieve, among the People of the Scripture and the idolaters, will abide in fire of hell. They are the worst of created beings. – Pickthall
    • Of all creatures are they the worst! – Rodwell

            হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র  ( নাপাক থানভী) সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। ৯:২৮

বোধহয়  বার্টান্ড রাসেলের কোন  লেখায় পড়েছিলাম -‘তুমি যদি নাস্তিক হতে চাও বাইবেল পড় ।’ আমিও সবাইকে বলি যদি নাস্তিক হতে চাও তো কোরান পড় । ধর্ম এবং আল্লাহ সম্পর্কে আমার যা কিছু ভয়ডর ছিল তা কোরান পাঠের পর পরই চুকে যায় ।তারপর যতবার পড়ি তত দৃঢ হয়  ইসলামের অধর্মতা ।
মামুন আব্দুল্লাহর মত আমারও দশা । তবে তার পরিবর্তন হওয়াটা ছিল বেশ কঠিন । কেননা তার ওয়াশ করা ব্রেইনকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে  নিয়ে আসা অনেক কঠিন ।তুলনায় আমার ক্ষেত্রে আমাদের পরিবার আগে থেকেই কিছুটা উদাসীন ছিল ধর্মীয় ব্যপারে  ।  -প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল বাড়িতে ।ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হত , তবে  যতনা ছিল ধর্মের- তার চেয়ে বেশী সামাজিকতার ।  ফলে মুক্তমন নিয়েই ভাবতে শিখেছি সব কিছু ।
কিন্তু মামুন কঠিন পথ পেরিয়েই এসেছে-পুড়ে খাঁটি হয়ে  । অনেক শুভেচ্ছা  আপনাকে ।

     

    মামুন আব্দুল্লাহর মত আমারও দশা

     

    অনুগ্রহপূর্বক আপনার ইসলাম ত্যাগের ঘটনা লিখুন। আমার কাছে অনেকের কাহিনীই আছে। তবে বাঙালিদের ইসলাম ত্যাগের ঘটনা খুবই বিরল। সেই জন্য আমার ইচ্ছে আছে যেসব বাঙালি সাহস নিয়ে ইসলাম ত্যাগ করেছে তাদের স্বীকারোক্তি সংকলন করা।

     

    প্লিজ, আমাদের নিরাশ করবেন না।

      আবুল কাশেম -আমার ইসলাম ত্যাগ কোন বিশেষ ঘটনায় কোন নাটকীয় ভাবে আসেনি । মাঝে মাঝে মনে হয় আমি মুসলমান হলাম কবে? -যেদিন পান পাতা দিয়ে প্রবল ভয়ের মধ্যে আমরা লিঙ্গত্বকছ্বেদ করা হল-নাকি ‘জোকার নায়েকে’র মত আমি জন্মেই মুসলমান । আমি জ্ঞানত: কখনও মুসলমান ছিলাম না- যেমন পাকিস্তানে থেকেও  পাকিস্তানি ছিলাম না কোনদিন । পাকিস্তান বাদকে ত্যাগ করার সাথে ২ আমি ইসলামকেও তার জুড়ি হিসাবে ত্যাগ করি । তাই সে ইতিহাস দীর্ঘ ও প্রায় আত্মকাহিনির মত । আমার খুব একটা ভাল লেখার অভ্যাস নাই -তবু আপনার অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবো । তবে বেসিক্যালি আমি অলস , লেখার চাইতে পড়তেই বেশী ভালবাসি । আর বেশী পড়লে যা হয় -লেখাভীতি প্রবল হয় ।
      প্রসঙ্গত উল্লেখ করি- আমি আপনার প্রায় সমস্ত লেখা আমি পড়েছি । আমার চিন্তাভাবনায় যা অশেষ অবদান রেখেছে ।

ধন্যবাদ রাজেশ ভাইকে লেখা পড়ার জন্য গত দুইরাত ঘুম না আসার কারনে বসে বসে ভাবছিলাম কি করা যায় তো ওয়াজ হচ্ছিল এক চ্যানেলে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতে বসলাম আর হাসতে হাসতে আমার মন ভালো হয়ে গেলো কি উদ্ভট আর যুক্তিহীন কথা যে বয়স্ক দাড়িওয়ালা লোকগুলো বলতে পারে আবার নামের শেষে লাগানো যুক্তিবাদী হাসুম না কান্দুম

আশরাফি ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য

আমি একজন মানুষ এইটাই আমার সর্বশেষ পরিচয় 

প্রত্যেক মানুষের সেই পরিচয়ে পরিচিত হওয়া উচিত।

জন্ম সূত্রে ইসলামের অনুসারী না হলেও বন্ধু বান্ধব, সহকর্মী বা আশে পাশের লোকজনের কৃপায় মেঘ না চাইতে জলের মত বহু নামজাদা জাঁদরেল ইসলামী পন্ডিতদের মূল্যবান ওয়াজ শুনার দূর্লভ সৌভাগ্য আমার হয়েছে, অপ্রত্যাশিত ভাবে ইসলাম কবুলের দাওয়াত লাভের সুযোগ ঘটেছে জীবনে বেশ কয়েকবার। বোধকরি স্নেহ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের অতিশয্যা থেকেই তা সে আহ্বান তারা করেছে। যাক সে ইতিহাস মূল কথায় আসি, আমার দৃঢ় উপলব্ধি ওয়াজ শুনার ভাগ্যটা আমার বরাবরি খুব খারাপ, যতবারই আগ্রহ নিয়ে ওয়াজ শুনতে বসেছি প্রতিটি ওয়াজেই লক্ষ্য করেছি অন্যান্য ধর্মের লোকজন কে চরম গালাগাল, বিষেদাগার বা হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়া কোন বক্তার ওয়াজ আজ পর্যন্ত শোনার সৌভাগ্য আমার হয়নি। কেনো হয়নি তাও অজানা! নিজের ভাগ্যকে দুষেছি বারবার।আপনাদের কারো সেই সৌভাগ্য কি কখনো হয়েছে?

ধর্ম নামক বালছাল নিয়ে সময় নষ্ট করেননি সেটাই ভাল। ধর্ম জানার জন্য স্টাডি করা যায়। কিন্তু আস্তিকদের প্রশ্নের কড়া জবাব দিতে হবে, নাহলে আমি নাস্তিক নই- এই মন মানসিকতা ধরে রাখার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীতে জানার অনেক কিছু আছে। ধর্মীয় শিক্ষা উঠিয়ে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আপনার উপলব্ধিকে শ্রদ্ধা…

ক্ষুদ্র সত্তা ভাই আপনাকে ধন্যবাদ

অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ধার্মিকেরা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। কারণ ধার্মিকেরা ধর্ম এবং ধর্মশাস্ত্র মিথ্যাচারের এনসাইক্লোপিডিয়া। যে আল্লাকে প্রশ্ন করা যায় না সে তো অগণতান্ত্রিকে বিশ্বাসী। আমাদের তো গণতন্ত্রের উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আর আস্থা আছে বলেই আমাদের বাক্-স্বাধীনতা কেড়ে নেবার চেষ্টা করলে আমরা কতদিন আর সহিষ্ণু হয়ে থাকতে পারব। ধার্মিকদের একটা বলতে চাই : আপনারা আপনাদের বিশ্বাসের কথা বলুন। এটা আপনাদের অধিকার। আমরা আমাদের অবিশ্বাসের বলব। এটা আমাদের বিশ্বাস। আপনাদের বিশ্বাসে আঘাত দিলে যদি গুনাহ হয়, আমাদের বিশ্বাসে আঘাত দিলেও একই গুনাহ হয়। আপনারা ধার্মিক মানুষ হয়ে এই গুনাহ করবেন কেন!!!  একটা প্রশ্ন করব? আল্লাহ যদি সর্বশক্তিমান হয় তাহলে ১৪০০ বছর পরেও দুনিয়ার ৮০০ কোটি মানুষকে মুসলমান করাতে পারল না কেন? তাহলে তো সারা কোনো ধর্মীয় সংকট থাকত না, তাই নয় কি? সব ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এক মানুষ এক ধর্ম — এই ব্যবস্থা যদি কোনো আল্লাহ কোনো ভগবান কোনো গড সৃষ্টি করতে পারে তাহলে আমি একজন বস্তুবাদী হয়ে বলছি দুনিয়ার ৮০০ কোটি মানুষের জন্য মাথাপিছু ১টি করে মোট ৮০০ উপাসনালয় গড়ে দেব। কে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে — আল্লাহ? ভগবান? গড?

এই পোস্টটা পড়ে দেখুন দয়া করে – মানুষ কেন নাস্তিক হয়? – http://shahi.blog.com/?p=79

If Allah exist and he recreate the human.According to the holy Quran,disbeliever will be thrown to the hell.Then what will do those disbeliever? Please do not underestimate the any religion. আর সে ক্ষুধা নিবৃত্তির তৃপ্তি টায় বা কি? আবার হুজুর যখন বললেন বেহেশতবাসীর জন্য ৭২টা করে হুর দেয়া হবে, তাদের যৌনবাসনা নিবৃত্তির জন্য, তখন আমার খুব লজ্জা লাগতো। ভাবতাম আমার বাবা বোন যখন বেহেশতে যাবে আর আমি তাদের সামনে ৭২ টা হুর নিয়ে ঘুরবো? আমার কোরানে বর্নিত বেহেশতটা কে খুব নোংরা মনে হতে লাগলো।This statement is wrong.I know that every jannati can have only two hoor who are the wives of the jannati.when the jannati will live with a hoor,no other human or no another hoor can see them.All students never be teacher,All teacher never be good teacher.So,All hozor may not have good strong knowledge on ISLAM.If you want to know about ISLAM for proper justification.Please read the Quran(Expalanation:Tafsir Ibne Kasir),Hadith (Bukhari,Muslim,Ibne Mazah,Tirmidhi,Nasai Shareef,Abu daud,daremi,Shoaibul Iman,Musnade Ahmed,Muwatta Malik,Ibne khuzaimah,Riazus Salehen,Bulgul Maram etc). When I had a little knowledge on Islam,that time
I was just muslim.When I started learning the root books of the ISLAM,I am understanding the proper Islam.Some people do not try to learn the Islam,Their main aim is hit to ISLAM.They will never try to get the deep
knowledge about ISLAM.

শুনেছিলাম শয়তান মানুষ্কে পথ ভ্রষ্ট করে । আর আল্লাহ শয়তান দিয়ে মানুষকে কূপথে পরিচালনা করে ধর্মের পরীক্ষা নেন । তারমানে শয়তান না থাকলে মানূষ পাপ করতো না । তাহলে শয়তান তৈরীর আগে আল্লাহ জ্বীন জাতি তৈরী করেছিল , তো তারা কেন অবাধ্য হয়েছিল ? তখন তো শয়তানই ছিলনা । শয়তান তো আদম (আ) কে সেজদা না করায় ইব্লিশে পরিনত হয়েছে যে কিনা আল্লাহর খুব প্রখর ইবাদাতকারী ছিল ।

আল্লাহ বলেন,,

   আমি যা জানি তোমরা তা জাননা।

                           আল-কোরআন

 

আপনাকে আমাকে ত বিশাল বড় সমুদ্র থেকে সূইয়ের মাথা পরিমান জ্ঞান দেওয়া হয়েছে।এই মাথা নিয়ে এত কিছু জানতে চান?সৃষ্টিকর্তা কেন?আগে তার সৃষ্টিকে নিয়ে ভাবেন।

আপনি ত অনেক কিছু নিয়েই ভাবেন একবার কি ভেবেছেন আপনি কেন এই পৃথিবী?আমি কি করে হলেম?পৃথিবী কি করে হল?

আপনার আশেপাশের জিনিসগুলা ভাবলেই আপনার মাথা ০০ হয়ে যাবে।

ত আপনি সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে এত ভাবেন কেন?

আগে সৃষ্টিকে নিয়ে ভাবেন তখনই আপনার মন সাড়া দিবে নিশ্চই সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


মতামত দিন বাতিল করুন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।