আফগানিস্তানঃ আমি কেন আমেরিকান প্রস্থানে উল্লসিত নই

5 মতামত পাওয়া গেছে

প্রথম মন্তব্য।

পরীক্ষা করে দেখছি সবকিছু ঠিকমত কাজ করে কিনা।

আমেরিকার বিকল্প আসলেই কিছূ নেই এখন আফগানিস্তানে। আর আমেরিকাও হাড়ে হাড়ে বুঝছে ইসলামী উগ্রপন্থীদের হাতের পুতুল করা সম্ভব নয়, যা তারা ভেবেছিল। এখন সত্যি কথা বলতে কি আফগানদের সামনে কোন ভবিষ্যত নেই, কারন তারাও ইসলামের কট্টর সমর্থক। আজ যদিও বা তালেবানদের উৎসাহে ভাঁটা পড়ে, যে কোনদিন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মসতো তা জেগে উঠবে আর লাভায় বিষাক্ত করবে চারপাশ।

    ভাই রুশদী; খুবই গুরুত্বপুর্ণ কাজ করেছেন।

    এখন সত্যি কথা বলতে কি আফগানদের সামনে কোন ভবিষ্যত নেই, কারণ তারাও ইসলামের কট্টর সমর্থক।

    আমি অনেক আফগানি ছাত্রকে পড়িয়েছি এবং পড়াচ্ছি। এরা খুব ভদ্র, অমায়িক এবং নিষ্ঠবান, যদিও পড়াশোনায় তেমন আহামরি কিছু নয়।

    তবে একটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করেছি–ধর্মের, মানে ইসলামের ব্যাপারে এরা খুবই অনড়। এদের সাথে ধর্ম-নিরপেক্ষতা বা ধর্মহীনতা নিয়ে আলোচনা করা বৃথা। এই সাধারণ আফগান এবং তালিবানদের সাথে খুব তফাৎ নাই। শুধু যে তফাৎ দেখেছি তা হচ্ছে তালিবানরা সৎসাহস দিয়ে ইসলামের আসল চেহারা উন্মোচন করছে–আর এই সব সাধারণ আফগানিরা ইনিয়ে বিনিয়ে ইসলামের পবিত্রতা প্রচারে মত্ত। এদের হাতে অস্ত্র-শস্ত্র ধরিয়ে দিলে এরাও তালিবান হয়ে যাবে।

প্রফেসর হুদভয়ের মার্ক্সবাদের আসন থেকে পতন ঘটেছে দেখা যাচ্ছে।

নিজ স্বার্থ সবাই দেখে কমিউনিস্ট কিংবা পুজিবাদী। কিন্তু পুজিবাদী বিশ্ব যে কেবল-ই লুটপাটে বিশ্বাসী — এ উদ্ভট মার্ক্সিস্ট ধারনা থেকে প্রফেসর হুদভয় বেরিয়ে এসেছেন নিঃসন্দেহে।

ইসলামের মত মার্ক্সবাদের অন্ধগলি থেকে বের হয় কঠিন। পারভেজ হুদভয়ের মত দু’চার জন অতি-মেধাবী মার্ক্সসিস্ট বিনা বাকীরা সেটা পারেনা।

মোমিন উল-মুহাম্মদ

প্রফেসর হুদভয় ওসামা/তালেবানের লাননে আমেরিকার মদদের কথা একেবারেই উপেক্ষা করেছেন।

তবে এটাও ঠিক যে, আমার কৃতকর্মের দায়ভার মূলত আমাকেই নিতে হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি প্রফেসরের সাথে একমত। আমেরিকার জন্য আফগানিস্তানের অব্যাহত উপস্থিতি প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আর বিকল্প নির্ঘাত তালেবান শাসনের পুনরাবৃত্তি।


মতামত দিন বাতিল করুন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।