৪২৩ বার পঠিত
সুন্দরবনকে নষ্ট করতে একের পর এক কর্মকাণ্ড হাতে নিচ্ছে সরকার৷ সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিশেষজ্ঞরাও বলছেন যে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো সুন্দরবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে৷ কিন্তু কারুর কথাতেই কর্ণপাত করছে না সরকার৷
দুসপ্তাহ আগে সুন্দরবন ঘেঁষে ৩২০টি শিল্পকারখানাকে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিলো বাংলাদেশ সরকার। আজ ২৪ অগাস্ট হাইকোর্ট সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্পকারখানা অনুমোদনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বাগেরহাটের সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্পে নির্মাণ কাজ চলছে (আলোকচিত্র: ঢাকা ট্রিবিউন)
একই সঙ্গে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কতগুলো শিল্পকারখানা রয়েছে, এর তালিকা ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। পরিবেশসচিব, শিল্পসচিব, ভূমিসচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সম্প্রতি বলেন,
‘‘সরকার পরিবেশ ও সুন্দরবন রক্ষায় করা নিজের আইন নিজেরাই ভঙ্গ করছে৷ একই সঙ্গে তারা দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর কাছে সুন্দরবন রক্ষার যেসব অঙ্গীকার করেছে, তারও বরখেলাপ করছে৷”
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো: আব্দুল মতিন সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে বলেন,
‘‘সুন্দরবনের প্রতি সরকারের কোনো ভালোবাসা নেই৷ থাকলে, কোনোভাবেই কোনো দেশের গণতান্ত্রিক সরকার এই ধরনের একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটজ এভাবে ধ্বংস করে দিতে পারত না৷ ঐ এলাকায় আগে থেকেই ১৮০টি শিল্প কল-কারখানা ছিল৷ এখন নতুন করে আরো ৩২০টি শিল্প কারখানাকে অনুমোদন দেয়া হলো৷ আরো ১৫০ জনকে দেয়া হলো শিল্প প্লট৷ এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করার ব্যাপারে তো সরকার অটল রয়েছেই৷ এমনটা যদি হয় তারপরও কি সুন্দরবন বাঁচবে?’’
গত রবিবার (৬ অগাস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ কমিটির চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই সভাতেই সুন্দরবন ঘেঁষে ৩২০টি শিল্পকারখানাকে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ কমিটি৷ অথচ সম্প্রতি ইউনেস্কোও বলেছে, কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা (এসইএ) ছাড়া এখানে ভারী শিল্প ও স্থাপনা করা যাবে না৷
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন